শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

নওগাঁর মান্দায় আত্রাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে বিপর্যস্ত এলাকাবাসী

বুলবুল আহমেদ, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে মান্দার আত্রাই নদীতে বাড়ছে পানি।

বর্তমানে মান্দা উপজেলার মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার মান্দা উপজেলার জোতবাজার পয়েন্টে আত্রাই নদীর পানি এখন বিপদসীমার ১৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য,মান্দা উপজেলার বিষ্ণপুর ইউপির চকরামপুর নামক স্থানে বুধবার দুপুরের পর নদীর বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এর পূর্বে মান্দার আত্রাই ও ফকিন্নি নদীর কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গার কারনে হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও এ উপজেলার মধ্যেদিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রায় নদীর উভয় তীরের বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত:পক্ষে ৫০ টি পয়েন্ট ঝুঁকিপর্ণ হয়ে পড়েছে বলেও জানাগেছে।

২০১৭ সালের বন্যায় চকরামপুর ও কয়লাবাড়ি বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার পরে আর মেরামত করা হয়নি। এতে করে নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব ভাঙ্গনস্থান দিয়ে পানি ঢুকে অসংখ্য মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ইতোমধ্যেই নদীর একটি মূলবাঁধ সহ আরো সাতটি বেড়ি বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। ভাঙ্গনকৃত বেড়ি বাঁধগুলো হলো, পার-নুরুল্যাবাদ , পার-নুরুল্যাবাদ মন্ডলপাড়া, জোঁকাহাট, চকরামপুর, কয়লাবাড়ি, বাইবোল্যা ও পাঁজরভাঙ্গা।

উল্লেখ্য, গত বুধবার দুপুরের পর আত্রাই নদীর মূলবাঁধটি ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে ধান, পাট ও সবজির ক্ষেত সহ ভেসে গেছে অনেক পুকুরের মাছ। বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় বন্যা দূর্গত এলাকার মানুষ বন্যানিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। এসব এলাকার মানুষ গবাদিপশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।

নওগাঁর মান্দায় ব্যাহত হচ্ছে ভূমি সেবা

বুলবুল আহমেদ, নওগাঁ প্রতিনিধিঃনওগাঁর মান্দায় গত কয়েক মাস ধরে উপজেলা ভূমি অফিসে এসিল্যান্ড না থাকায় উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের জমির মালিকদের চরম দূর্ভোগ এবং ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত সেবা প্রত্যাশীরা ভূমি অফিসে এসে জমির খাজনা, নামজারি, নামপত্তন, বন্দোবস্ত, ইজারা, খাসজমির কাগজপত্র এবং ডিসিআর পেতে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে ভূমি সেবা।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস পূর্বে সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) এস এম হাবিবুল হাসান বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে এ দপ্তরে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) আব্দুল হালিম। বদলিজনিত কারণে বর্তমানে পদটি গত কয়েক মাস ধরে শূন্য।

উপজেলা ভূমি অফিসের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ‘জমির দাখিলা কাটা, খাজনা আদায়, খাস জমির ডিসিআর ও মিউটেশন করতে হয় মাসে প্রায় তিন শতাধিক। দীর্ঘদিন এসিল্যান্ড না থাকায় আমরা নানা দূর্ভোগে পড়েছি । দূরদূরান্ত থেকে আসা জমির মালিকদের সময়মতো দাখিলা কেটে সমাধান দিতে পারছি না। অফিসের দপ্তরির কাজও বিঘ্নিত হচ্ছে। সেইসঙ্গে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের জমির মালিকরা অফিসে এসে কোনো সমাধান না পেয়ে তারা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

ভূমি সেবা নিতে আসা গনেশপুর গ্রামের সেকেন্দার আলী মোল্লা বলেন, মান্দা উপজেলা ভূমি অফিসে এসিল্যান্ড না থাকায় অফিসের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। আমার বাবা খুব অসুস্থ। চিকিৎসা ব্যায় মিটানোর জন্য আমার চাচার কাছে জমি বিক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। অথচ, জমি খারিজ করতে না পারার কারণে জমিটি হস্তান্তর করতে পারছি না। আর সেজন্য টাকার সংকুলান না হওয়ায় আমরা খুব বেকায়দায় আছি। শুধু আমিই না, আমার মতো ভূমি সেবা নিতে আসা অনেককেই চরম ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে। আমরা অতিদ্রুত এর একটা সমাধান চাই।

এ ব্যাপারে দ্রুত একজন এসিল্যান্ড (ভূমি) নিয়োগ দানের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com